ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় আনন্দ স্কুলের ২ হাজার শিক্ষার্থীর বরাদ্দের শিক্ষা উপকরণের ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিলেন টিসি!

zuniadনিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :::

বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালিত বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ১২২ টি আনন্দ স্কুলের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দের শিক্ষা উপকরণের ৪ লক্ষাধিক টাকা সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে জোর করে হাতিয়ে নিয়ে আনন্দ স্কুলের পেকুয়া উপজেলা টিসি মো. জুনাইদ নোমান ঈদের তিন দিন আগে থেকে ছুটি নিয়ে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 জানা গেছে, আনন্দ স্কুলের প্রতিজন শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য জুন মাসে গড়ে দুই শত টাকা করে শিক্ষা উপকরনের টাকা আসে সংশ্লিষ্ট আনন্দ স্কুল পরিচালনা কমিটির ব্যাংক হিসেবে। আর এ টাকাগুলো যথানিয়মের জুন মাসের ২০ তারিখের মধ্যে উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, পেকুয়া উপজেলার আনন্দ স্কুলের টিসি মো. জুনাইদ নোমান ঈদের এক সপ্তাহ পূর্বে ১২২টি আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের অফিসে ডেকে এনে শিক্ষা উপকরণের টাকা হাতিয়ে নেন এবং শিক্ষকদের টাকা গ্রহণের একটি স্লিপ দেন। অথচ রস্কের প্রধান কার্যালয় থেকে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, শিক্ষা উপকরণের টাকা সংশ্লিষ্ট আনন্দ স্কুল পরিচালনা কমিটি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে শিক্ষার্থীদের উপকরণ ক্রয় করবেন। টিসিদের শিক্ষা উপকরনের টাকা গ্রহণের নিয়ম না থাকলেও পেকুয়ার টিসি মো. জুনাইদ নোমান পেকুয়া উপজেলার ১২২টি আনন্দ স্কুলের টাকা ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে ঈদের ৩দিন আগে থেকেই ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে উধাও হওয়ার ঘটনায় বিপুল পরিমাণ আনন্দ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আনন্দ স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, পেকুয়া উপজেলার অধিকাংশ আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্র্থীদের উপকরণ ক্রয়ের টাকা শিক্ষকরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করলেও সেই টাকা টিসি জুনাইদ হাতিয়ে নিয়ে বাড়ীতে চলে গেছে। টিসি নিজেই বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নি¤œমানের উপকরণ ক্রয় করে শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করে সরকারী বরাদ্দ লুটপাটের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন টিসি জুনাইদ এমনটাই অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। পরে শিক্ষকরা এ নিয়ে পত্রিকায় একটি রির্পোট করার জন্য এ প্রতিবেদকের কাছে অনুরোধ জানান।

 অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেকুয়া উপজেলার আনন্দ স্কুলের টিসি মো. জুনাইদ নোমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষকদের কাছ থেকে তিনি টাকা জমা রেখেছেন। তিনি আত্মাসাত করেননি। ঈদের ছুটির পর তিনি পেকুয়ায় আসলে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীদের উপকরণের টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।

 এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করা রস্ব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব) জানান, তিনি পেকুয়া উপজেলার বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাঠকের মতামত: